পুলিশের অবজ্ঞা বা পাশ কাটিয়ে দেশ গড়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “পুলিশই সম্মুখসারির মানুষ, তারা আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আইন ও শৃঙ্খলা না থাকলে, যত বড় চিন্তা বা টাকাই থাকুক, কোনো কিছুই কার্যকর হবে না।” আজ সোমবার তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পুলিশের ১২৭ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সরকার যাই করার চেষ্টা করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত পুলিশের মাধ্যমে সেটি বাস্তবায়িত হয়। পুলিশ মাঠে থেকে আইন ও শৃঙ্খলা তৈরি করে, যা না থাকলে কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। পুলিশের মাধ্যমে পরিবেশ সৃষ্টি না হলে কোনো কাজ এগোতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়তে পারি না। তারা সম্মুখসারির মানুষ এবং তাদের কাজের মাধ্যমেই দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আইন ও শৃঙ্খলা ছাড়া কোনো চিন্তাই কার্যকর হবে না।”
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি বড় সম্ভাবনাময় দেশ, তবে সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী দেশের তালিকায় স্থান পাবে। একটি সুন্দর, নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নতি হবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি তার স্থান তৈরি করবে।”
নতুন বাংলাদেশ গঠনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “পুলিশ বাহিনী আইন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে। যদিও অতীতে তারা কিছু নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিল, বর্তমানে তাদের ভালো মানুষের ভূমিকা নিতে হবে।”
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের কাজের মাধ্যমে আমরা দেখাব, আমাদের হাত দিয়ে এই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে। পুলিশ হবে বন্ধু, আইন হবে সবার আশ্রয়, এবং পুলিশ হবে সেই আশ্রয়দাতা।”
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী এবং পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে বলেন, “এই নতুন সুযোগ আমরা হারাতে পারি না। পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে আইন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হলে, বাংলাদেশের উন্নতি নিশ্চিত হবে।”