আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা রয়েছে ৩.৫ লাখ টাকা।
রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন লিখিত বক্তব্যে জানান, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, ফলে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
মূল সুপারিশসমূহ:
🔹 করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি: বর্তমানে ৩.৫ লাখ টাকা করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব।
🔹 মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ৭-৮% মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হতে পারে।
🔹 ক্যাপাসিটি চার্জ বাতিল: বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ বন্ধের প্রস্তাব।
🔹 জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষতিপূরণ: হতাহতদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার দাবি।
বর্তমান কর কাঠামো:
✅ সাধারণ করদাতা: প্রথম ৩.৫ লাখ টাকা করমুক্ত, এরপর ৫%, ১০%, ১৫%, ২০% এবং সর্বোচ্চ ২৫% হারে কর ধার্য।
✅ নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতা: করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা।
✅ তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি: করমুক্ত আয়সীমা ৪.৭৫ লাখ টাকা।
✅ মুক্তিযোদ্ধা করদাতা: করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা।
✅ প্রতিবন্ধী সন্তানের অভিভাবক: অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করমুক্ত সুবিধা।
সিপিডি মনে করে, কর কাঠামো পুনর্গঠন ও ন্যায়সঙ্গত আয়কর নীতির মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের উপর করের চাপ কমানো জরুরি। এজন্য আসন্ন বাজেটে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।