ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
করোনার টিকায় ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

সালমান–জাহিদ সিন্ডিকেটের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

কোভিড–১৯ টিকার আমদানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে।

আজ সোমবার দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্তের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার, দুই উপসহকারী পরিচালক মো. জুয়েল রানা ও কাজী হাফিজুর রহমান।

২০২১ সালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ডিসেম্বরে চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, যা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন, সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছিল। অভিযোগের দাবি, টিকা কেনার প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ এবং সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের অন্তর্ভুক্তি আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সরকার তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাকে অন্তর্ভুক্ত করে যে চুক্তি করেছে, তাতে টিকা বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় উচ্চ দামে আমদানি করতে হয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিটি টিকার ডোজ থেকে ৭৭ টাকা লাভ করেছে। সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আমদানি করলে প্রতি ডোজে বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে আরও ৬৮ লাখ টিকা কেনা যেত।

অভিযোগে বলা হয়েছে, কোভিড পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার টাকা খরচও অত্যাধিক ছিল এবং এতে দুর্নীতির লক্ষণ স্পষ্ট ছিল। তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন, বিএমআরসি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী, ও সাবেক মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নামও এই দুর্নীতির সিন্ডিকেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভিড–১৯ টিকা ক্রয় ও বিতরণের জন্য খরচ হওয়ার কথা ছিল সর্বোচ্চ ১৮ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছেন, ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

আলোচিত

পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কারফিউ জারি

করোনার টিকায় ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

সালমান–জাহিদ সিন্ডিকেটের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

০৫:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

কোভিড–১৯ টিকার আমদানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে।

আজ সোমবার দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্তের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার, দুই উপসহকারী পরিচালক মো. জুয়েল রানা ও কাজী হাফিজুর রহমান।

২০২১ সালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ডিসেম্বরে চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, যা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন, সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছিল। অভিযোগের দাবি, টিকা কেনার প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ এবং সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের অন্তর্ভুক্তি আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সরকার তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাকে অন্তর্ভুক্ত করে যে চুক্তি করেছে, তাতে টিকা বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় উচ্চ দামে আমদানি করতে হয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিটি টিকার ডোজ থেকে ৭৭ টাকা লাভ করেছে। সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আমদানি করলে প্রতি ডোজে বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে আরও ৬৮ লাখ টিকা কেনা যেত।

অভিযোগে বলা হয়েছে, কোভিড পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার টাকা খরচও অত্যাধিক ছিল এবং এতে দুর্নীতির লক্ষণ স্পষ্ট ছিল। তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন, বিএমআরসি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী, ও সাবেক মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নামও এই দুর্নীতির সিন্ডিকেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভিড–১৯ টিকা ক্রয় ও বিতরণের জন্য খরচ হওয়ার কথা ছিল সর্বোচ্চ ১৮ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছেন, ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।