প্রতারণা রোধে ভূমি ব্যবস্থাপনা শিগগিরই ডিজিটাল করবে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ কাজ চলছে। আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম কার্য–অধিবেশন শেষে ভূমি উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমরা সনাতনী পদ্ধতি থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছি। এই ট্রানজিশনটা ক্ষেত্র বিশেষে একটু পেইনফুল হয়। ক্রমান্বয়ে মানুষের অসুবিধাগুলো দূর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চান অতিসত্বর ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে আসুক। বর্তমানে আমরা ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ কাজ পরিচালনা করছি।’
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে। আমরা এসব খাতে প্রশিক্ষিত জনবল ও কোম্পানিগুলোর সহায়তা পেতে শুরু করেছি। আমরাও লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি। আশা করছি, সেদিন বেশি দূরে না যে সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল আওতায় আসবে।’
১০ মার্চের আগে ই–নামজারির পেন্ডিং আবেদনগুলোর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, আবেদন প্রক্রিয়া চলমান, প্রতিনিয়ত আবেদন পড়ছে। বিষয়টা হচ্ছে সিস্টেমটা ব্যবহার উপযোগী হবে কিনা, আশা করছি সেটা ১০ মার্চের আগেই হয়ে যাবে।’
ভূমি ব্যবস্থাপনায় এখনো সাধারণ মানুষ প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে ই–নামজারির ক্ষেত্রে এটি বেশি হচ্ছে। সে বিষয়ে আপনারা কী দিকনির্দেশনা দিলেন বা ডিসিরা কী কী সমস্যার কথা জানালেন এমন প্রশ্নের জবাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এখন ই–নামজারি করা যাচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত একটু সমস্যা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে অনেকটাই সমাধান হয়েছে।’
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন ডিজিটাল মাধ্যমে যাই তখন সারা দেশে সাড়ে ৪ লাখের মতো আবেদন পেন্ডিং ছিল। সেটা এখন কমে এসেছে। দিন দিন এটা আরও কমে যাবে। তখন মানুষের হয়রানিও কমে যাবে।’
উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আগামী ১০ মার্চের মধ্যে এটা করে ফেলব। আশা করছি, তার আগেই মানুষ এটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে। আর পর্চার বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের ভোগান্তি ৮০ ভাগ কমে গেছে।’