ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে গত ৬ মার্চ এই রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তারেক রহমানের আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। আপিল বিভাগ গত ৪ মার্চ মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৯ সালের অক্টোবরে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

২০১০ সালের জুলাইয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালে বিচারিক আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন, তবে মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।

দুদকের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের মামুনকে দেওয়া সাজাও বহাল রাখেন।

পরবর্তীতে মামুন আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের দুজনকেই খালাস দেন।

তারেক রহমান ২০০৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন এবং পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং এখনো সেখানে বসবাস করছেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুন গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তাকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন।

মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান শুনানি করেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দুটি মামলা থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এছাড়া ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও খালাস পান।

আলোচিত

 সৌদিতে ২৯ রমজানে চাঁদ দেখা গেলে ৩০ মার্চ ঈদ

অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

০৮:৩৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে গত ৬ মার্চ এই রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তারেক রহমানের আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। আপিল বিভাগ গত ৪ মার্চ মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৯ সালের অক্টোবরে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

২০১০ সালের জুলাইয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালে বিচারিক আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন, তবে মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।

দুদকের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের মামুনকে দেওয়া সাজাও বহাল রাখেন।

পরবর্তীতে মামুন আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের দুজনকেই খালাস দেন।

তারেক রহমান ২০০৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন এবং পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং এখনো সেখানে বসবাস করছেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুন গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তাকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন।

মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান শুনানি করেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দুটি মামলা থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এছাড়া ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও খালাস পান।