পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিধান বাতিল করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার।’
প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহম্মদ আজ রোববার তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন। আজ জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে জানান ফয়েজ আহম্মদ।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সম্মেলন তিন দিন ধরে চলবে।
সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস দেশের আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পাসপোর্টও এ দেশের নাগরিকের একটা পরিচয়পত্র, এখানে পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন লাগবে? আমরা আইন করে দিয়েছি, এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। সে কথাটা গ্রামে–গঞ্জে গিয়েছে কিনা?’
এই কথার পর উপস্থিত সবাই হাততালি দেয়। হাততালি দেখে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তালি দেখে মনে হলো এটা পৌঁছে নাই। পৌঁছালে—হ্যাঁ, আমরা জানি, তো এটা আবার বলার দরকার কী? আমার বলার কারণে তালি দেওয়ার অর্থ হলো, সুন্দর কাজ হয়েছে তো! তার মানে এ কথা ওখানে পৌঁছে নাই, অথচ আমরা এখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছি কিছুদিন আগে। এই যে দূরত্ব, এটাও যেন না থাকে।’
পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এগুলোর কোনো কারণ নাই, বিনা কারণে মানুষ হয়রানি করা হয়। হয়রানি করাটাই যেন আমাদের ধর্ম! সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি—এটার থেকে উল্টে দাও। সরকার ভিন্ন জিনিস, আপনার অধিকার আপনার দরজায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। এটাই যেন আমরা স্মরণ রাখি।’