কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটকের পর মারা যাওয়া যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের লাশ নিয়ে দোষীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা ও আশপাশের গ্রামের মানুষ কুমিল্লা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বেলা ১২টার দিকে যুবদল নেতা তৌহিদের লাশবাহী গাড়ি নিয়ে জনতা সেখানে আসেন। এ সময় তারা তৌহিদুলের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। এ সময় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার অভিযোগ করেন, “আমার মেয়েগুলো এতিম হয়ে গেল। যারা আমার স্বামীকে মেরেছে তাদের কি মা নাই, বোন নাই? তারা কেন ওকে মারল- আমার এটাই প্রশ্ন। আমি দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।”
বিচার দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার সদস্যসচিব রাশেদুল হাসান বলেন, “ঘটনার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত যারাই আছে, তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।”
মৃত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তৌহিদুলকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ তার পরিবারকে ফোন করে জানায়, তৌহিদুল আহত অবস্থায় গোমতী নদীর পাড়ে পড়ে আছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পুলিশ প্রথমে সদর হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তৌহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে তৌহিদুল ইসলামের প্রথম জানাজা শনিবার বাদ জোহর ইটাল্লা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।