ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হৃদয়ের প্রথম সেঞ্চুরি, জাকেরের সঙ্গে রেকর্ড জুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে

বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর জাকের আলীর সঙ্গে গড়া রেকর্ড জুটিতে দলকে টেনে তোলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দল। প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। এরপর একে একে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। নবম ওভারের চতুর্থ বলে আরও একটি উইকেট পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তবে রোহিত শর্মার হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যাওয়ায় জীবন পান জাকের আলী।

এরপরই শুরু হয় হৃদয় ও জাকেরের লড়াই। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ১৫৪ রানের জুটি, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে, ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জাস্টিন কেম্প ও মার্ক বাউচার ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন।

জাকের আলী ৬৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তাওহিদ হৃদয়। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও লড়াকু ইনিংস খেলে ৪৯তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে সিঙ্গেল নিয়ে শতক পূর্ণ করেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ম্যাচে এসে পেলেন প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ।

তামিম ইকবালের পর হৃদয় হলেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, যিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম করেছিলেন ১২৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২৮ রানে, ৪৯.৪ ওভারে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে হৃদয় ১০০ রান করে আউট হন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের চেনা বিপর্যয়ের মাঝেও তিনি নতুন রেকর্ড গড়লেন।

আলোচিত

গৌরীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমিরের

হৃদয়ের প্রথম সেঞ্চুরি, জাকেরের সঙ্গে রেকর্ড জুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে

১০:২১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর জাকের আলীর সঙ্গে গড়া রেকর্ড জুটিতে দলকে টেনে তোলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দল। প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। এরপর একে একে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। নবম ওভারের চতুর্থ বলে আরও একটি উইকেট পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তবে রোহিত শর্মার হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যাওয়ায় জীবন পান জাকের আলী।

এরপরই শুরু হয় হৃদয় ও জাকেরের লড়াই। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ১৫৪ রানের জুটি, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে, ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জাস্টিন কেম্প ও মার্ক বাউচার ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন।

জাকের আলী ৬৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তাওহিদ হৃদয়। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও লড়াকু ইনিংস খেলে ৪৯তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে সিঙ্গেল নিয়ে শতক পূর্ণ করেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ম্যাচে এসে পেলেন প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ।

তামিম ইকবালের পর হৃদয় হলেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান, যিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম করেছিলেন ১২৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২৮ রানে, ৪৯.৪ ওভারে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে হৃদয় ১০০ রান করে আউট হন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের চেনা বিপর্যয়ের মাঝেও তিনি নতুন রেকর্ড গড়লেন।