পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে এক্স-রেতে ভুলের কারণে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদুল ইসলামের (১৫) পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তার সহপাঠীরা ‘হেলথকেয়ার’ নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে। পরে প্রশাসনের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ভুক্তভোগী জিহাদুল ইসলাম স্বরূপকাঠির সোহাগদল গ্রামের আমিনুল ইসলাম মিলনের ছেলে। কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে তার গোড়ালিতে চোট লাগে। স্থানীয় নেছারাবাদ হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে গোড়ালির এক্স-রে করানোর জন্য ‘হেলথকেয়ার’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান।
তবে অভিযোগ রয়েছে, সেখানে দায়িত্বরত টেকনিশিয়ান চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র না দেখেই হাঁটুর এক্স-রে করেন। ভুল প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চিকিৎসক পুরো পায়ে ব্যান্ডেজ করে দেন। কয়েক দিনের মধ্যে পায়ে পচন ধরে গেলে দ্রুত ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জিহাদুলের বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, “চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন, ছেলের গোড়ালির রগ ছিঁড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভুল চিকিৎসার কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পায়ের ভেতরের অংশ পচে যায়। চিকিৎসকদের বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, ছেলের পা কেটে ফেলতে হবে।”
‘হেলথকেয়ার’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মাসুদ রানা ভুল স্বীকার করে বলেন, ছেলেটির কথামতো আমরা এক্স-রে করেছি, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখিনি। এটি আমাদের ভুল হয়েছে।
স্বরূপকাঠির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ‘হেলথকেয়ার’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।