ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিপসিক অ্যাপ ডাউনলোডে নিষেধাজ্ঞা

চীনের ডিপসিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটের ডাউনলোডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা কমিশন (পিআইপিসি)। অর্থাৎ স্থানীয় অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে এআই অ্যাপটি। এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার গোপনীয়তা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ‘উন্নয়ন ও সংশোধন’ করার পর দেশটিতে অ্যাপটির সেবা আবার চালু হবে।

বিশ্বব্যাপী খবরের শিরোনামে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ডিপসিক এবং অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ স্থান দখল করে। প্রতি সপ্তাহে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করত। তবে গোপনীয়তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে বিভিন্ন দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।

পিআইপিসি জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ডিপসিক অ্যাপটি অ্যাপল অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোরে আর পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া কর্মীদের অফিসের ডিভাইসে ডাউনলোড নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা।

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক ডিপসিককে একটি ‘চমক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাইরেও দেশের অন্যান্য শিল্প খাতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ডিপসিকের ডাউনলোডের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, যারা ইতিমধ্যে অ্যাপটি তাঁদের ফোনে ডাউনলোড করেছেন, তাঁরা এর ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন। এ ছাড়া ডিপসিকের ওয়েবসাইটে থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে।

গত মাসের শেষে ডিপসিকের নতুন অ্যাপটি চালু হওয়ার পর প্রযুক্তি শিল্প, বাজার এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তাইওয়ান এবং অস্ট্রেলিয়াও তাদের সরকারি ডিভাইসগুলো থেকে ডিপসিক নিষিদ্ধ করেছে।

২০২৩ সালে অল্প সময়ের জন্য চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করেছিল ইতালির নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এখন ডিপসিকের ওপরও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আবার অ্যাপ স্টোরে ফিরিয়ে আনতে হলে ডিপসিকের গোপনীয়তা নীতিমালা সংশোধনের শর্ত দিয়েছে দেশটি।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আইনপ্রণেতারা একটি বিল প্রস্তাব করেছেন, যাতে ফেডারেল ডিভাইসগুলো ডিপসিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ, এতে নজরদারি সম্পর্কিত উদ্বেগ রয়েছে। টেক্সাস, ভার্জিনিয়া ও নিউইয়র্কের মতো কিছু রাজ্য ইতিমধ্যে তাদের কর্মীদের জন্য ডিপসিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ডিপসিকের ‘বড় ভাষা মডেল’ (এলএলএম) যুক্তরাষ্ট্রের মডেলগুলোর মতোই কার্যকরী। তবে অন্য মডেলেগুলোর তুলনায় প্রশিক্ষণ এবং চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাত্র একাংশ খরচ করেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ এআই অবকাঠামোতে যে বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে তার দিকে প্রশ্ন তুলেছে।

আলোচিত

গৌরীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমিরের

দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিপসিক অ্যাপ ডাউনলোডে নিষেধাজ্ঞা

০৪:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চীনের ডিপসিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটের ডাউনলোডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা কমিশন (পিআইপিসি)। অর্থাৎ স্থানীয় অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে এআই অ্যাপটি। এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার গোপনীয়তা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ‘উন্নয়ন ও সংশোধন’ করার পর দেশটিতে অ্যাপটির সেবা আবার চালু হবে।

বিশ্বব্যাপী খবরের শিরোনামে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ডিপসিক এবং অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ স্থান দখল করে। প্রতি সপ্তাহে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করত। তবে গোপনীয়তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে বিভিন্ন দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।

পিআইপিসি জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ডিপসিক অ্যাপটি অ্যাপল অ্যাপ স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোরে আর পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া কর্মীদের অফিসের ডিভাইসে ডাউনলোড নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা।

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক ডিপসিককে একটি ‘চমক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাইরেও দেশের অন্যান্য শিল্প খাতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ডিপসিকের ডাউনলোডের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, যারা ইতিমধ্যে অ্যাপটি তাঁদের ফোনে ডাউনলোড করেছেন, তাঁরা এর ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন। এ ছাড়া ডিপসিকের ওয়েবসাইটে থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে।

গত মাসের শেষে ডিপসিকের নতুন অ্যাপটি চালু হওয়ার পর প্রযুক্তি শিল্প, বাজার এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তাইওয়ান এবং অস্ট্রেলিয়াও তাদের সরকারি ডিভাইসগুলো থেকে ডিপসিক নিষিদ্ধ করেছে।

২০২৩ সালে অল্প সময়ের জন্য চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করেছিল ইতালির নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এখন ডিপসিকের ওপরও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আবার অ্যাপ স্টোরে ফিরিয়ে আনতে হলে ডিপসিকের গোপনীয়তা নীতিমালা সংশোধনের শর্ত দিয়েছে দেশটি।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আইনপ্রণেতারা একটি বিল প্রস্তাব করেছেন, যাতে ফেডারেল ডিভাইসগুলো ডিপসিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ, এতে নজরদারি সম্পর্কিত উদ্বেগ রয়েছে। টেক্সাস, ভার্জিনিয়া ও নিউইয়র্কের মতো কিছু রাজ্য ইতিমধ্যে তাদের কর্মীদের জন্য ডিপসিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ডিপসিকের ‘বড় ভাষা মডেল’ (এলএলএম) যুক্তরাষ্ট্রের মডেলগুলোর মতোই কার্যকরী। তবে অন্য মডেলেগুলোর তুলনায় প্রশিক্ষণ এবং চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাত্র একাংশ খরচ করেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ এআই অবকাঠামোতে যে বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে তার দিকে প্রশ্ন তুলেছে।