ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তা পাড়ে আন্দোলনকারীদের ঢল, ন্যায্যতার ডাক

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে তিস্তা পাড়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আন্দোলনকারীরা একত্রিত হয়ে দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি আওয়াজ তুলেছেন। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে লালমনিরহাটের ১১টি পয়েন্টে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি। আন্দোলনকারীরা ১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর তীরে অবস্থান নিচ্ছেন। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো তিস্তা নদীর করুণ পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা এবং পানির ন্যায্য হিস্যা, নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের দাবি আদায় করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা রাত্রিযাপন, রান্না ও লোকসংগীতের আয়োজন করেছেন। তিস্তাপাড়ের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও সংকটকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাতে হাজার হাজার মশাল প্রজ্বলন করা হবে। রংপুর বিভাগের অন্যান্য জেলার মতো লালমনিরহাটের তিনটি স্থানে—সদরের তিস্তা সেতু এলাকা, মহিপুর তিস্তা সেতু এলাকা এবং তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রথম দিন সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছেন, কেউ মিছিল নিয়ে আসছেন, কেউবা পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত হচ্ছেন।

এছাড়া, কর্মসূচিতে থাকছে নানা আয়োজন—পদযাত্রা, আলোচনা সভা, তিস্তার পানিতে দাঁড়িয়ে মশাল প্রদর্শন এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শন। বিকেলে তিস্তা সেতু এলাকায় উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আন্দোলনের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান জানিয়েছেন, কর্মসূচির জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা আসবে।

তিস্তা নদী শুধু একটি জলাধার নয়, এটি তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এই আন্দোলন শুধু একটি দাবি নয়, এটি বেঁচে থাকার লড়াই। আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা, তিস্তার মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এবং নদীর ন্যায্য পানি বণ্টন নিশ্চিত করা হবে।

আলোচিত

গৌরীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমিরের

তিস্তা পাড়ে আন্দোলনকারীদের ঢল, ন্যায্যতার ডাক

০৪:০৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে তিস্তা পাড়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আন্দোলনকারীরা একত্রিত হয়ে দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি আওয়াজ তুলেছেন। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে লালমনিরহাটের ১১টি পয়েন্টে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি। আন্দোলনকারীরা ১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর তীরে অবস্থান নিচ্ছেন। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো তিস্তা নদীর করুণ পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা এবং পানির ন্যায্য হিস্যা, নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের দাবি আদায় করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা রাত্রিযাপন, রান্না ও লোকসংগীতের আয়োজন করেছেন। তিস্তাপাড়ের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও সংকটকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাতে হাজার হাজার মশাল প্রজ্বলন করা হবে। রংপুর বিভাগের অন্যান্য জেলার মতো লালমনিরহাটের তিনটি স্থানে—সদরের তিস্তা সেতু এলাকা, মহিপুর তিস্তা সেতু এলাকা এবং তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রথম দিন সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছেন, কেউ মিছিল নিয়ে আসছেন, কেউবা পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত হচ্ছেন।

এছাড়া, কর্মসূচিতে থাকছে নানা আয়োজন—পদযাত্রা, আলোচনা সভা, তিস্তার পানিতে দাঁড়িয়ে মশাল প্রদর্শন এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শন। বিকেলে তিস্তা সেতু এলাকায় উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আন্দোলনের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান জানিয়েছেন, কর্মসূচির জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা আসবে।

তিস্তা নদী শুধু একটি জলাধার নয়, এটি তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এই আন্দোলন শুধু একটি দাবি নয়, এটি বেঁচে থাকার লড়াই। আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা, তিস্তার মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এবং নদীর ন্যায্য পানি বণ্টন নিশ্চিত করা হবে।