ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে নানা বদল আসে

সন্তান হওয়ার পরেও দাম্পত্যের রং অটুট রাখবেন যেভাবে

বর্তমান যুগে পারিবারিক বন্ধন যে আগের চেয়ে কিছুটা হলেও কমেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সন্তান জন্মের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে নানা বদল আসে। সন্তানকেই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দু’জনে। সন্তানদের নিয়েই গড়ে ওঠে দু’জনের জগৎ। নিজেদের জন্য আলাদা সময় বের করার সুযোগ একেবারেই হয় না। একসঙ্গে মুহূর্ত উদযাপনও বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে সম্পর্কে রংও কিছুটা কমতে শুরু করে। অথচ শক্ত পারিবারিক বন্ধনের জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন হয় না।

জীবনের এই পর্বে একটু বুদ্ধি করে চললে সম্পর্ক মধুর হতে পারে-

১) সঙ্গীকে ছোটখাটো সারপ্রাইজ, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও ঘুরতে যাওয়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলো আনলেই সুখের হবে জীবন। সব সময় সঙ্গী আপনার মনের কথা ভেবে চলবেন এমনটা নয়, আপনাকেও কিছু প্রচেষ্টা করতে হবে।

২) দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। সন্তান জন্মের পর বিশেষ করে ওকে ঘিরেই নতুন জগৎ বানিয়ে নেন অভিভাবকেরা, এই ভুলটা না করে দাম্পত্য জীবনের জন্যও কিন্তু সময় বের করতে হবে দু’জনকে।

৩) সন্তানের দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়ে যদি কথা না বলা হয় বা একে অপরকে বোঝার চেষ্টা না করা হয়, তাহলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। যাকে ভালবাসছেন তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনওই সুখের হবে না দাম্পত্য জীবন।

৪) সন্তানের জন্মের পর মা-বাবা দুজনেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হতে পারেন। এই ক্লান্তি সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজুন। সন্তানের টুকিটুকি কাজের সঙ্গে বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে জিমে যেতে পারেন, সুইমিং করতে পারেন, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর বাহির থেকে সঙ্গীর সঙ্গে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে। মনে কোনও কথা জমা না রেখে একান্তে সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা ভাগ করে নিন।

৫) প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভালো করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি। তার কাজের প্রশংসা করুন, মাঝেমধ্যে প্রশংসা শুনে সঙ্গীর মনও ভালো হয়ে যায়।

আলোচিত

গৌরীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমিরের

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে নানা বদল আসে

সন্তান হওয়ার পরেও দাম্পত্যের রং অটুট রাখবেন যেভাবে

০৫:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বর্তমান যুগে পারিবারিক বন্ধন যে আগের চেয়ে কিছুটা হলেও কমেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সন্তান জন্মের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে নানা বদল আসে। সন্তানকেই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দু’জনে। সন্তানদের নিয়েই গড়ে ওঠে দু’জনের জগৎ। নিজেদের জন্য আলাদা সময় বের করার সুযোগ একেবারেই হয় না। একসঙ্গে মুহূর্ত উদযাপনও বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে সম্পর্কে রংও কিছুটা কমতে শুরু করে। অথচ শক্ত পারিবারিক বন্ধনের জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন হয় না।

জীবনের এই পর্বে একটু বুদ্ধি করে চললে সম্পর্ক মধুর হতে পারে-

১) সঙ্গীকে ছোটখাটো সারপ্রাইজ, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও ঘুরতে যাওয়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলো আনলেই সুখের হবে জীবন। সব সময় সঙ্গী আপনার মনের কথা ভেবে চলবেন এমনটা নয়, আপনাকেও কিছু প্রচেষ্টা করতে হবে।

২) দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। সন্তান জন্মের পর বিশেষ করে ওকে ঘিরেই নতুন জগৎ বানিয়ে নেন অভিভাবকেরা, এই ভুলটা না করে দাম্পত্য জীবনের জন্যও কিন্তু সময় বের করতে হবে দু’জনকে।

৩) সন্তানের দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়ে যদি কথা না বলা হয় বা একে অপরকে বোঝার চেষ্টা না করা হয়, তাহলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। যাকে ভালবাসছেন তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনওই সুখের হবে না দাম্পত্য জীবন।

৪) সন্তানের জন্মের পর মা-বাবা দুজনেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হতে পারেন। এই ক্লান্তি সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজুন। সন্তানের টুকিটুকি কাজের সঙ্গে বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে জিমে যেতে পারেন, সুইমিং করতে পারেন, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর বাহির থেকে সঙ্গীর সঙ্গে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে। মনে কোনও কথা জমা না রেখে একান্তে সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা ভাগ করে নিন।

৫) প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভালো করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি। তার কাজের প্রশংসা করুন, মাঝেমধ্যে প্রশংসা শুনে সঙ্গীর মনও ভালো হয়ে যায়।