বিদ্রোহী ফুটবলাররা অনড়। সুর নরম হয়নি কোচ পিটার বাটলারেরও। জটিলতা নিরসনে বিশেষ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সভাপতি তাবিথ আউয়ালের। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি।
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে নারী দলের। এর আগে কোচ ও ফুটবলারদের দ্বন্দ্ব সমঝোতার মাধ্যমে মেটানোর চেষ্টা করছেন বাফুফে সভাপতি। অনুশীলনে ফেরানোর জন্য সাবিনা খাতুনদের অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আশ্বাস দেন সমস্যা সমাধানের। তবে তাতে সায় দেননি বিদ্রোহী ফুটবলাররা।
মেয়েদের পাশাপাশি বাটলারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাবিথ। অনুশীলনে দুর্ব্যবহার করতে বাটলারকে নিষেধ করেছেন তিনি। কিন্তু সাবিনারা অনুশীলনে ফেরেননি তাতেও। তাই নতুন ভবিষ্যতের দিকেই এগোচ্ছেন বাটলার। সিনিয়রসহ ৩৭ ফুটবলারকে নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি, ‘সঠিক সময়ে স্কোয়াড (আরব আমিরাত ম্যাচের) ঘোষণা করা হবে। আমরা এখনো নতুন ভবিষ্যতের জন্য নতুন স্কোয়াড তৈরি করছি।’
বাটলার নতুন ভবিষ্যতের কথা বললেও নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজ আক্তার কিরণ বলছেন অন্য কথা। সাবিনাদের ফেরানো নিয়েই ভাবছেন তিনি। বাফুফে সভাপতির সঙ্গে মেয়েদের কী কথা হয়েছে সেটা অবশ্য বলতে চাননি কিরণ, ‘বিশেষ কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সভাপতির কাছে। সভাপতিও তাঁর জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এখন এই মুহূর্তে আমার বলার কিছুই নেই। সভাপতির সঙ্গে তারা কী কথা বলেছে, সেটা সভাপতিকে জিজ্ঞেস করাই ভালো।’
সাবিনাদের বিদ্রোহের পরও বিকল্প কিছুর কথা ভাবছেন না কিরণ, ‘আমাদের কোনো প্ল্যান ‘বি’ নেই, প্ল্যান ‘এ’তেই আছি আমরা। আমি এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের ফেরাতে। তারা অভিমানে আছে, আমার বিশ্বাস তারা ফিরবে। আমাদের মনে হয়েছিল (গতকাল) তারা অনুশীলনে ফিরবে। না ফেরায় আমি অবাক হইনি। এটাই স্বাভাবিক।’
বাটলার কোচ থাকলে অবসরের হুমকিও দিয়েছেন ১৮ ফুটবলার। কিরণ বলেন, ‘দীর্ঘ ক্যারিয়ারকে তারা এভাবে নষ্ট করতে পারে না। অনূর্ধ্ব-১২ থেকে ওদের হাতে ধরে আমি নিয়ে এসেছি। তাই আমার খারাপ লাগাটা অনেক বেশি।’
এদিকে আমিরাতের বিপক্ষে মেয়েদের ম্যাচ দুটি হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ।