কোস্ট গার্ডের তথ্য অনুযায়ী, ছোট ওই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি শুক্রবার নোম শহরের দক্ষিণ–পূর্বে প্রায় ৩৪ মাইল দূরে পাওয়া গেছে।
উড়োজাহাজটিতে থাকা তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি সাতজন উড়োজাহাজের ভেতরে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে এখনই তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাইক সালার্নো।
সিএনএনের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, সেসনা মডেলের উড়োজাহাজটি বেয়ারিং এয়ার কোম্পানির মালিকানাধীন ছিল এবং এতে নয়জন যাত্রী ও একজন পাইলট ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ইউনালাকলিট থেকে নোমের উদ্দেশে যাত্রা করার পর এটি নিখোঁজ হয়। উড়োজাহাজটি উপকূল থেকে প্রায় ১২ মাইল দূরে থাকা অবস্থায় এটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ১৮ মিনিটে উড়োজাহাজটি হঠাৎ গতি হারিয়ে ফেলে। তবে এটি ঠিক কী কারণে ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
কোস্ট গার্ডের প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি বরফে ঢাকা অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়ে চূর্ণ–বিচূর্ণ হয়ে গেছে। কোস্টগার্ড এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উড়োজাহাজটির খোঁজ চালানো হলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়। কোস্টগার্ড ও মার্কিন উড়োজাহাজ বাহিনীর সি–১৩০ উড়োজাহাজগুলোও প্রাথমিক অনুসন্ধানে কিছু খুঁজে পায়নি।
তবে শুক্রবার আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়। নোম শহরের আকাশ ছিল পরিষ্কার এবং তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড ও কোস্ট গার্ড হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
এই দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসির কাছে একটি সামরিক ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হয়। এ ছাড়া, ফিলাডেলফিয়ায় একটি মেডেভাক জেট বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে।