ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত সংস্কার শেষ হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই: প্রধান উপদেষ্টা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যখন দায়িত্ব নিতে বলা হয়, তখন ‘অভিভূত’ বোধ করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরও বলেছেন, দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন হলে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে, আমি সরকার পরিচালনা করব। আমি আগে কখনো সরকার চালাইনি, তাই কোন কোন কাজগুলো আগে করব সেগুলো নির্ধারণ করতে হয়েছে আমাকে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলো, তখন আমরা সবকিছু সংগঠিত করতে শুরু করলাম।’ তিনি আরও জানান, দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অর্থনীতি পুনর্গঠন ছিল তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে চলে যান। তাঁর দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। বাংলাদেশের আদালত তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘তারাই (আওয়ামী লীগ) সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি তো তাদের হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।’
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘অর্থনীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা এক বিপর্যস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অর্থনীতি। যেন গত ১৬ বছর ধরে কোনো ভয়াবহ ঝড় বয়ে গেছে, আর আমরা এখন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলাদেশ শাসন করেন। তাঁর আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী মতকে নির্মমভাবে দমন করেছে। তাঁর শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা ও কারারুদ্ধ করার ঘটনাও ঘটেছে।
গত আগস্টে এক ছাত্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। বিক্ষোভকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরে এসে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তার সরকার ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। তবে সে জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন, তা কত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় তার ওপর নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি নির্ভর করছে।
ড. ইউনূস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার হলে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। আমরা একদম বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে শুরু করেছি।’ এ সময় তিনি জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘মানুষ গুলিতে নিহত হয়েছে, মারা গেছে।’
তবে হাসিনার সরকার পতনের সাত মাস পার হয়ে গেলেও ঢাকার অনেক নাগরিক মনে করছেন—আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘উন্নতি আপেক্ষিক ব্যাপার। যদি গত বছরের এই সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক মনে হবে। কিন্তু যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।’
বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের জন্য ইউনূস আগের সরকারকে দায়ী করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বলছি না যে, এসব ঘটনা আমরা অনুমোদন দিচ্ছি বা মেনে নিচ্ছি। আমি শুধু বলছি, আমাদের মনে রাখতে হবে যে—আমরা কোনো আদর্শ রাষ্ট্র বা শহর রাতারাতি তৈরি করিনি। এটা বহু বছর ধরে চলমান এক রাষ্ট্রের ধারাবাহিকতা।’
শেখ হাসিনার কঠোর শাসনের শিকার ব্যক্তিরা এখনো ক্ষুব্ধ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছে, তাঁর শাসনামলে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের জন্য তাঁকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। বাংলাদেশের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তবে ভারত এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এদিকে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার এক ইউটিউব ভাষণের ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা হয়। এমনকি শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতাকে ন্যায়সংগত বলে উপস্থাপন করছে। এ বিষয়ে বিবিসি ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তাঁর সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আদালত আছে, আইন আছে, থানায় অভিযোগ করা যায়। আপনি কেবল বিবিসির প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বসে থাকবেন না, থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন এবং দেখুন আইন কীভাবে কাজ করে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জন্য বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম কমিয়ে দিয়েছে এবং ইউএসএআইডির অর্থায়ন প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করেছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তবে এটা আমাদের জন্য সহায়ক হয়েছে। কারণ, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কাজগুলো করতে চাইছে, তা আমাদেরও দরকার। কিন্তু আমরা এক্ষুনি সেগুলো একসঙ্গে করতে পারতাম না।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তৃতীয় বৃহত্তম সরকারি উন্নয়ন সহায়তা প্রদানকারী। গত বছর তারা বাংলাদেশকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘যখন সময় আসবে, তখন আমরা সামলে নেব।’

আলোচিত

গৌরীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমিরের

দ্রুত সংস্কার শেষ হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই: প্রধান উপদেষ্টা

০১:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যখন দায়িত্ব নিতে বলা হয়, তখন ‘অভিভূত’ বোধ করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরও বলেছেন, দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন হলে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে, আমি সরকার পরিচালনা করব। আমি আগে কখনো সরকার চালাইনি, তাই কোন কোন কাজগুলো আগে করব সেগুলো নির্ধারণ করতে হয়েছে আমাকে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলো, তখন আমরা সবকিছু সংগঠিত করতে শুরু করলাম।’ তিনি আরও জানান, দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অর্থনীতি পুনর্গঠন ছিল তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে চলে যান। তাঁর দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। বাংলাদেশের আদালত তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘তারাই (আওয়ামী লীগ) সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি তো তাদের হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।’
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘অর্থনীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা এক বিপর্যস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অর্থনীতি। যেন গত ১৬ বছর ধরে কোনো ভয়াবহ ঝড় বয়ে গেছে, আর আমরা এখন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলাদেশ শাসন করেন। তাঁর আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী মতকে নির্মমভাবে দমন করেছে। তাঁর শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা ও কারারুদ্ধ করার ঘটনাও ঘটেছে।
গত আগস্টে এক ছাত্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। বিক্ষোভকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরে এসে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তার সরকার ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। তবে সে জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন, তা কত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় তার ওপর নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি নির্ভর করছে।
ড. ইউনূস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার হলে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। আমরা একদম বিশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে শুরু করেছি।’ এ সময় তিনি জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘মানুষ গুলিতে নিহত হয়েছে, মারা গেছে।’
তবে হাসিনার সরকার পতনের সাত মাস পার হয়ে গেলেও ঢাকার অনেক নাগরিক মনে করছেন—আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘উন্নতি আপেক্ষিক ব্যাপার। যদি গত বছরের এই সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক মনে হবে। কিন্তু যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।’
বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের জন্য ইউনূস আগের সরকারকে দায়ী করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বলছি না যে, এসব ঘটনা আমরা অনুমোদন দিচ্ছি বা মেনে নিচ্ছি। আমি শুধু বলছি, আমাদের মনে রাখতে হবে যে—আমরা কোনো আদর্শ রাষ্ট্র বা শহর রাতারাতি তৈরি করিনি। এটা বহু বছর ধরে চলমান এক রাষ্ট্রের ধারাবাহিকতা।’
শেখ হাসিনার কঠোর শাসনের শিকার ব্যক্তিরা এখনো ক্ষুব্ধ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছে, তাঁর শাসনামলে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের জন্য তাঁকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। বাংলাদেশের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তবে ভারত এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এদিকে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার এক ইউটিউব ভাষণের ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা হয়। এমনকি শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতাকে ন্যায়সংগত বলে উপস্থাপন করছে। এ বিষয়ে বিবিসি ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তাঁর সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আদালত আছে, আইন আছে, থানায় অভিযোগ করা যায়। আপনি কেবল বিবিসির প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বসে থাকবেন না, থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন এবং দেখুন আইন কীভাবে কাজ করে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জন্য বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম কমিয়ে দিয়েছে এবং ইউএসএআইডির অর্থায়ন প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করেছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তবে এটা আমাদের জন্য সহায়ক হয়েছে। কারণ, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কাজগুলো করতে চাইছে, তা আমাদেরও দরকার। কিন্তু আমরা এক্ষুনি সেগুলো একসঙ্গে করতে পারতাম না।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তৃতীয় বৃহত্তম সরকারি উন্নয়ন সহায়তা প্রদানকারী। গত বছর তারা বাংলাদেশকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘যখন সময় আসবে, তখন আমরা সামলে নেব।’