গত সোমবার অ্যাপল জানিয়েছে, ‘এই ত্রুটি একটি জটিল হামলায় ব্যবহার হতে পারে। নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ডিভাইসকে লক্ষ্য করে এই হামলা করা হয়।’
২০১৮ সালে ইউএসবি রেসট্রিকটেড মোড চালু করে অ্যাপল। এটি একটি নিরাপত্তা বিষয়ক ফিচার। যদি আইফোন বা আইপ্যাড লকড থাকে এবং সেই ডিভাইসটি সাত দিন ধরে আনলক না করা হয়, তাহলে ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করা যাবে না। এর মানে হলো—যতক্ষণ না পর্যন্ত ডিভাইসটি আনলক করা হয় ততক্ষণ ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে ডেটা চুরি বা অ্যাকসেস পাওয়া যাবে না।
এ ছাড়া, গত বছর আরেকটি নিরাপত্তা ফিচার চালু করেছে অ্যাপল। যদি ডিভাইসটি ৭২ ঘণ্টা ধরে আনলক না করা হয়, তবে ডিভাইসটি পুনরায় রিবুট হয়। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা অপরাধীরা ফরেনসিক টুল ব্যবহার করে ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারবে না।
আপডেট বিষয়ক অ্যাপলের বিবৃতি ইঙ্গিত দেয় যে, সরাসরি অ্যাপলের ডিভাইসের সঙ্গে অন্য ডিভাইস সংযুক্ত করার মাধ্যমে এই হামলা করা হয়। অর্থাৎ, আক্রমণের জন্য ফরেনসিক ডিভাইস (যেমন: সেলিব্রেট বা গ্রে-কী) ব্যবহার করে ডিভাইসটি সংযুক্ত করতে হয়েছে। এই ধরনের ডিভাইসগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে, যাতে আইফোন বা অন্যান্য ডিভাইসে সংরক্ষিত ডেটা অ্যাকসেস করা যায়।
সেন্টার ফর সিটিজেন ল্যাবের সিনিয়র গবেষক বিল মার্কজাক এই ত্রুটিটি শনাক্ত করেন। এই সংস্থাটি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ তদন্ত করে থাকে।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে মার্কজাক জানান, তিনি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
এখন পর্যন্ত এটি স্পষ্ট নয় যে, এই ত্রুটির অপব্যবহার কে করেছে এবং কার বিরুদ্ধে তা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে অতীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই ধরনের ফরেনসিক টুল ব্যবহার করে আইফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসের ডেটা আনলক করেছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, সেলেব্রাইট টুল ব্যবহারে মাধ্যমে সাংবাদিক এবং অধিকার কর্মীদের ফোন আনলক করে সেগুলোতে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে সার্বিয়ার সরকার।
নিরাপত্তা গবেষকেরা জানান যে, সেলেব্রাইট ফরেনসিক ডিভাইস সম্ভবত ‘বিস্তৃতভাবে’ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ