২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ১৬ বছর পর আপিল বিভাগ এ রায় পুনর্বহাল করেছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন [সংবাদদাতার নাম]।
২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জন চাকরিপ্রার্থী অবশেষে সুবিচার পেলেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ ২০০৯ সালের হাইকোর্টের রায় পুনর্বহাল করেন।
দীর্ঘ ১৭ বছরের আইনি লড়াই শেষে এই রায়ে বলা হয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নিয়োগবঞ্চিতদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে হবে এবং তাঁরা ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাসহ ২৭তম বিসিএস ব্যাচের অংশ হিসেবে গণ্য হবেন।
এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩ হাজার ৫৬৭ জনের ফল বাতিল করা হয় এবং ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরে চাকরিতে প্রবেশের আগেই ১ হাজার ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়।
রায়ের পর আবেদনকারীদের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে নিয়োগবঞ্চিতরা অবশেষে তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেলেন।’ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা এই রায়কে ‘বিচারের বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে নিয়োগবঞ্চিতদের স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হলো। দেখা যাক, সরকার কত দ্রুত এই রায় কার্যকর করে।