ট্রান্সপারেন্সির করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স বা দুর্নীতির ধারণা সূচকে (সিপিআই) ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৪৯তম অবস্থানে ছিল। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের পয়েন্ট কমেছে ১। আর এতেই গত বছর ২৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ নেমে গেছে ১৫১তম অবস্থানে।
টিআই-এর সিপিআই সূচকে ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলকে তাদের সরকারি খাতে ধারণাগত দুর্নীতির মাত্রার ভিত্তিতে শূন্য থেকে ১০০ স্কেলের মধ্যে র্যাংক করা হয়, যেখানে শূন্য মানে অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ১০০ মানে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ১৩৫তম অবস্থানে। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান আছে তালিকার ১৬৫তম অবস্থানে। ভারত ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ৯৬তম অবস্থানে। নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১০৭ ও ৭৬তম অবস্থানে আছে।
টিআই প্রকাশিত দুর্নীতির তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে দক্ষিণ সুদান। এরপর শীর্ষ দশে থাকা অন্যান্য দেশগুলো হলো যথাক্রমে সোমালিয়া (২), ভেনেজুয়েলা (৩), সিরিয়া (৪), ইয়েমেন (৫), লিবিয়া (৬), ইরিত্রিয়া (৭), নিরক্ষীয় গিনি (৮), নিকারাগুয়া (৯) ও সুদান (১০)।
অপরদিকে, দুর্নীতি সবচেয়ে কম হয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। দ্বিতীয় স্থানে আছে ফিনল্যান্ড, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ। শীর্ষ দশে থাকা অপর পাঁচটি দেশগুলো হলো যথাক্রমে—নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়া।
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থান ৭৬তম, যুক্তরাষ্ট্র ২৮তম, যুক্তরাজ্য ২০তম, ফ্রান্স ২৫তম। এ ছাড়া, রাশিয়ার অবস্থান বাংলাদেশের চেয়েও নিচে। দেশটি ২২ পয়েন্ট নিয়ে ১৫৪তম অবস্থানে আছে।
মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব আছে ৩৮তম অবস্থানে, ইরান বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে ১৫১তম অবস্থানে আছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মম আগ্রাসন চালানো দেশ ইসরায়েল আছে ৩০তম অবস্থানে।