আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীর সমন্বয়ে ‘সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার’ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ রোববার সন্ধ্যা থেকেই এই কম্যান্ড সেন্টার কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাহিনীর সমন্বয়ে এই কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টার কাজ করবে। ফলে আইনশৃঙ্খলা দ্রুত উন্নতি হবে বলে আমরা আশা করছি।’
শফিকুল আলম জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সেন্টার সমন্বয় করবে এবং প্রতিটি বাহিনীর প্রতিনিধি সেখানে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘এই কম্যান্ড সেন্টার নিয়মিত মনিটরিং করবে। কীভাবে কাজ করবে, তা ধাপে ধাপে জানা যাবে।’
খাদ্যশস্যের দাম কমার বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করে শফিকুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে অর্থনীতির ১০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে এবং আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ রমজান মাসে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশে কোরিয়ান ইপিজেড নির্মাণের জন্য জমি-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা হয়েছে এবং কোরীয় পক্ষকে জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কোরিয়ান ইপিজেডের জমি দখলের চেষ্টা করছিল, যা এখন সমাধান হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, অর্থনীতি-সংক্রান্ত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িত এবং যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার কথা বলেছেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, এস আলম গ্রুপ ও নগদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে এসেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গেও আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
এই প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকার সহায়তা দিচ্ছে। ইউসিবি ও ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ভালো করছে।’
বেক্সিমকো গ্রুপ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকেই এ বিষয়ে রিপোর্ট করছেন, তবে এটি খুবই ছোট সমস্যা। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যেন সুষ্ঠুভাবে সমস্যার সমাধান হয় এবং শিল্প খাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে।’