দালাল ধরে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় আটকে রেখে দফায় দফায় মুক্তিপণ আদায় করছে মাফিয়া চক্র। সম্প্রতি আরও কয়েকটি গন্তব্যের বিদেশগামী কর্মীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। এমন প্রতারণা রোধে এবার বিদেশ গমনেচ্ছুদের কর্মীদের সতর্কবার্তা দিয়ে ১০ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের সতর্ক করে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক শ্রেণির প্রতারক, দালাল ও এজেন্সি মোটা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া, রাশিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে কর্মীদের প্রেরণ করছে। কিন্তু এসব ভিসায় কাজের অনুমতি না থাকায় প্রবাসীরা আর্থিক, মানসিক, এমনকি প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলেছে, টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায় কাজের আইনগত সুযোগ না থাকায় এভাবে বিদেশ গমন করে কর্মীগণ শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে প্রাণহানিসহ জেল জরিমানার শিকার হচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিদেশ গমনের পূর্বে কিছু বিষয়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিদেশগামী কর্মীদের সতর্ক করে দেয়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কর্মসংস্থান (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসায় বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ গমন না করা; দালালের প্রলোভনে ট্যুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমন না করা; বিদেশ গমনের পূর্বে নিয়োগকর্তার নাম, ঠিকানা, চাকরির বিস্তারিত বিবরণ যেমন- বেতন-ভাতা, কর্মের মেয়াদ, থাকা, খাওয়া, আকামা বা ওয়ার্ক পারমিটসহ অন্যান্য সুবিধাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া; বহির্গমন ছাড়পত্র ও গন্তব্য দেশের টিকিট ব্যতীত কর্মসংস্থান ভিসায় বিদেশ গমন না করা; জলপথ, স্থলপথ বা পায়ে হেঁটে গমন করে কর্মের জন্য দালালের মিথ্যা প্রলোভনে আশ্বস্ত না হওয়া; ভিসা প্রদানকারী দেশের দূতাবাস বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো হতে ভিসার সঠিকতা নিশ্চিত হয়ে গমন করা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে:
১. কর্মসংস্থান (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসায় বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ গমন না করা;
২. দালালের প্রলোভনে ট্যুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমন না করা;
৩. বিদেশ গমনের পূর্বে নিয়োগকর্তার নাম, ঠিকানা, চাকরির বিস্তারিত বিবরণ যেমন- বেতন-ভাতা, কর্মের মেয়াদ, থাকা, খাওয়া, আকামা বা ওয়ার্ক পারমিটসহ অন্যান্য সুবিধাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া;
৪. বহির্গমন ছাড়পত্র ও গন্তব্য দেশের টিকিট ব্যতীত কর্মসংস্থান ভিসায় বিদেশ গমন না করা;
৫. জলপথ, স্থলপথ বা পায়ে হেঁটে গমন করে কর্মের জন্য দালালের মিথ্যা প্রলোভনে আশ্বস্ত না হওয়া;
৬. ভিসা প্রদানকারী দেশের দূতাবাস বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো হতে ভিসার সঠিকতা নিশ্চিত হয়ে গমন করা;
৭. বিদেশ গমনের পূর্বে নিয়োগকারীর সাথে কর্মচুক্তি স্বাক্ষর নিশ্চিত করে বিদেশ গমন করা;
৮. ভিসা, কর্ম চুক্তিপত্র, নিয়োগকারী ও রিক্রুটিং এজেন্সির ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা;
৯. বিদেশ গমনের পূর্বে গমনকারী দেশে অবস্থিত বা নিকটবর্তী বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার সংরক্ষণ করা;
১০. সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি) তে প্রচারিত ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি বা নিয়োগকর্তার তথ্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.probashi.gov.bd বা বিএমইটি’র ওয়েবসাইট www.bmet.gov.bd বা প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার নম্বর ১৬১৩৫ হতে যাচাই করা।