ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজেপির দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন

দিল্লি থেকে ‘অবৈধ বাংলাদেশি বিতাড়নে’ কোমর বেঁধে নেমেছেন অমিত শাহ

দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেই অবৈধ বাংলাদেশি বিতাড়নে কঠোর অবস্থানে বিজেপি

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেই অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিজেপি। গতকাল শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।

অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থা

অমিত শাহ অভিযোগ করেন, আম আদমি পার্টির (আপ) জন্য এত দিন এই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার দিল্লির পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনকে অবৈধ বাংলাদেশি এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বিজেপির দলীয় সংগঠনকেও সম্পৃক্ত করা হবে।

বৈঠকে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া, যারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার কাজে জড়িত, সেই চক্রগুলোকেও কঠোর হাতে দমন করার নির্দেশ দেন অমিত শাহ।

দিল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে কঠোর অবস্থান

অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “এটা দিল্লির তথা পুরো দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু অসাধু চক্র রয়েছে, যারা অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র তৈরি করে তাদের বৈধতার সুযোগ করে দেয়। এই চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় এবার কঠোরভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে, আম আদমি পার্টি (আপ) সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা দিয়েছে এবং তাদের বৈধতা প্রদান করেছে।

বিজেপির দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন

বিজেপি বরাবরই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে তাদের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে তুলে ধরেছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং ত্রিপুরায় তারা এই ইস্যুতে জনসমর্থন আদায়ে কাজ করেছে। এবার দিল্লির ক্ষমতায় ফেরার পর, বিজেপি দ্রুত এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে চাইছে।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছে। আদালত জানতে চেয়েছে, “যদি যুক্তরাষ্ট্র বিমানভর্তি করে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পারে, তাহলে ভারত কেন বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠাতে পারবে না?”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির এই পদক্ষেপ মূলত দিল্লির ভোটারদের কাছে নিজেদের কঠোর প্রশাসনিক ভূমিকা তুলে ধরার একটি কৌশল। একই সঙ্গে, দেশের নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের নামে তারা নিজেদের ভোটব্যাংক সুসংহত করতে চাইছে। তবে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বিজেপির এই পদক্ষেপের ফলে দিল্লিতে অ

আলোচিত

গৌরীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমিরের

বিজেপির দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন

দিল্লি থেকে ‘অবৈধ বাংলাদেশি বিতাড়নে’ কোমর বেঁধে নেমেছেন অমিত শাহ

০৬:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেই অবৈধ বাংলাদেশি বিতাড়নে কঠোর অবস্থানে বিজেপি

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেই অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিজেপি। গতকাল শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।

অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থা

অমিত শাহ অভিযোগ করেন, আম আদমি পার্টির (আপ) জন্য এত দিন এই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার দিল্লির পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনকে অবৈধ বাংলাদেশি এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বিজেপির দলীয় সংগঠনকেও সম্পৃক্ত করা হবে।

বৈঠকে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া, যারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার কাজে জড়িত, সেই চক্রগুলোকেও কঠোর হাতে দমন করার নির্দেশ দেন অমিত শাহ।

দিল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে কঠোর অবস্থান

অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “এটা দিল্লির তথা পুরো দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু অসাধু চক্র রয়েছে, যারা অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র তৈরি করে তাদের বৈধতার সুযোগ করে দেয়। এই চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় এবার কঠোরভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে, আম আদমি পার্টি (আপ) সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা দিয়েছে এবং তাদের বৈধতা প্রদান করেছে।

বিজেপির দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন

বিজেপি বরাবরই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে তাদের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে তুলে ধরেছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং ত্রিপুরায় তারা এই ইস্যুতে জনসমর্থন আদায়ে কাজ করেছে। এবার দিল্লির ক্ষমতায় ফেরার পর, বিজেপি দ্রুত এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে চাইছে।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছে। আদালত জানতে চেয়েছে, “যদি যুক্তরাষ্ট্র বিমানভর্তি করে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পারে, তাহলে ভারত কেন বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠাতে পারবে না?”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির এই পদক্ষেপ মূলত দিল্লির ভোটারদের কাছে নিজেদের কঠোর প্রশাসনিক ভূমিকা তুলে ধরার একটি কৌশল। একই সঙ্গে, দেশের নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের নামে তারা নিজেদের ভোটব্যাংক সুসংহত করতে চাইছে। তবে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বিজেপির এই পদক্ষেপের ফলে দিল্লিতে অ