১১:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিন নামে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না: নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • ০৭:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 50

নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, ফিলিস্তিন নামে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে না এবং অধিকৃত ভূখণ্ডগুলো নিজেদের বলে দাবি করবেন। মায়ালে আদুমিমে জেরুসালেমের নিকটবর্তী একটি বসতিতে—এমন দাবি করেন তিনি এবং ঘোষণা দেন শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনার কথা।

নেতানিয়াহু একই অনুষ্ঠানে পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের একটি বড় প্রকল্প অনুমোদন দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে হাজার চারশ’ (১,৪০০) নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীরকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের সাথে হাজারো ইসরায়েলি বসতিকে একত্রে সংযুক্ত করবে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরণের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবিকভাবে ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে দেবে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপন প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রসারণ পরিকল্পনা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের ভৌগোলিক সংযোগ ভেঙে দেবে এবং ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বাস্তবতাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহু অবশ্য বলেন, পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রই এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির চাবিকাঠি—তাই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান অপরিহার্য।

১৯৬৭ সালের পরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়। যদিও অভ্যন্তরীণ অনুমোদন পেলেও এসব বসতিযোগ পরিচালনা আন্তর্জাতিক স্থানে বিরোধীতা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন প্রকল্প নেপথ্যে ভৌগোলিক বিভাজন সৃষ্টি করবে এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করবে।

ইসরায়েলি আত্মপ্রকাশ ও বসতি সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিবেচনা আর সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে কূটনৈতিক মহলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ফিলিস্তিন নামে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না: নেতানিয়াহু

০৭:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, ফিলিস্তিন নামে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে না এবং অধিকৃত ভূখণ্ডগুলো নিজেদের বলে দাবি করবেন। মায়ালে আদুমিমে জেরুসালেমের নিকটবর্তী একটি বসতিতে—এমন দাবি করেন তিনি এবং ঘোষণা দেন শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনার কথা।

নেতানিয়াহু একই অনুষ্ঠানে পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের একটি বড় প্রকল্প অনুমোদন দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে হাজার চারশ’ (১,৪০০) নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীরকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের সাথে হাজারো ইসরায়েলি বসতিকে একত্রে সংযুক্ত করবে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরণের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবিকভাবে ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে দেবে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপন প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রসারণ পরিকল্পনা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের ভৌগোলিক সংযোগ ভেঙে দেবে এবং ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বাস্তবতাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহু অবশ্য বলেন, পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রই এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির চাবিকাঠি—তাই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান অপরিহার্য।

১৯৬৭ সালের পরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়। যদিও অভ্যন্তরীণ অনুমোদন পেলেও এসব বসতিযোগ পরিচালনা আন্তর্জাতিক স্থানে বিরোধীতা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন প্রকল্প নেপথ্যে ভৌগোলিক বিভাজন সৃষ্টি করবে এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করবে।

ইসরায়েলি আত্মপ্রকাশ ও বসতি সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিবেচনা আর সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে কূটনৈতিক মহলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।